সরকারের পতনের দাবিতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টবর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়।
অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন সব রাজনৈতিক দল আমরা একসাথে প্রতিবাদ করে দাঁড়াই।
সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে যুবদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন করছে দাবি করে ফখরুল বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা প্রথমেই বলেছি রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা সেদিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হতে হয়েছে আমাদের (বিএনপির)।
এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি, আমাদের যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবি করছি।
যুবদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে প্রেসক্লাব এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এর আগে, একই দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নয়ন, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।