সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সহধর্মিনী।
ওবায়দুল কাদের সাহেবের ওপর প্রভাব খাটিয়ে এই কাজগুলো করছেন। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি ফেনীর অপরাজনীতির হোতা নিজাম হাজারী আর নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতা একরাম চৌধুরী বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ঢাকাতে মন্ত্রীর পরিচয় দিয়ে, মন্ত্রীর কথা বলে আজকে প্রশাসনকে প্রভাবিত করতেছে। মন্ত্রীর সেখানে থাকে। সে একরাম থেকে মাশোহারা পায় এবং বিআরটিসহ বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট করে খাচ্ছে সেই জাহাঙ্গীর।
আজকে সে মন্ত্রীর কথা বলে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর জুয়েল সন্ত্রাসীদেরকে মন্ত্রীর কথা বলে, মন্ত্রী এ বলছে, সে বলছে, এগুলো বলে, তাদেরকে নানাভাবে উৎসাহিত করেছে আমাকে হত্যা করার জন্য।
যত ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আপনারা করেন জনগণের হৃদয় থেকে আমাকে কখনো সরাতে পারবেন না। আলা উদ্দিন হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মামলায় তার ছেলে তাশিককে আসামি করায় কাদের মির্জা ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ছেলেটা ঢাকায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। তার পরীক্ষা চলছে, সে ঢাকায়। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। নেত্রী বিষয়টা দেখবেন বলেছেন। কিন্তু আজ তাকেও আসামি করা হয়েছে।
তুমি গোলাপ ভরা ফুলদানি ভেঙে ফেলতে পার, কিন্তু বাতাস থেকে কখনো গোলাপের গন্ধ মুছে ফেলতে পারবে না। শরীরে এক ফোটা রক্তবিন্দু থাকাবস্থায় সত্য কথা বলে যাবেন বলেও পুনরায় উল্লেখ করেন আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা। এ সময় ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবার বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন, যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ’। এই কবিতার সঙ্গে বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সাথে কোলাকুলি ছবিসহ আরো দুটি ছবি জুড়ে দেন।