দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের পক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য যৌথ কমিশনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক ছিল। তাতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও মালদ্বীপের পররাষ্টমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ।
দ্বিপক্ষীয় ফরেন অফিস কনসাল্টিংয়ের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষর করেন।
মৎস্য ও পেলেজিক ফিশিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী স্বাক্ষর করেন।
পাশাপাশি ২০২২-২০২৫ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হাসান ও ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ সই করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট গতকাল বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকায় আসেন।
তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। সেখানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এরপর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান এবং স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের সম্মান জানান।
সাভার থেকে ফিরে তিনি ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বিকেলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাক্ষাৎ করেন। এরপর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।