শনিবার রাত থেকে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের একটি সাক্ষাতকার নিয়ে। একটি অনলাইন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাকিব বলেন, তিনি কখনই বলেননি যে টেস্ট খেলতে চান না।
আকরাম খান বারবার মিডিয়ায় উল্টো কথা বলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আকরাম খানের কাজকর্ম নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
এরপর শুরু হয় বিসিবির প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা। সকাল থেকে কেউ মুখ না খুললেও সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বসে সভা।
এই সভা আসলে জাতীয় দল নিয়ে হলেও সেখানে সাকিবের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই সাংবাদিকরা রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় ছিলেন বিসিবির সিদ্ধান্ত জানার জন্য।
অবশেষে সভা থেকে বেরিয়ে বোর্ডের দুই পরিচালক আকরাম খান ও নাইমুর রহমান দুর্জয় সাংবাদিকদের জানান, আইপিএল খেলতে সাকিবকে যে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করা হবে। সেই সঙ্গে সাকিব শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে চাইলেও সুযোগ থাকবে।
সেই লাইভে সাকিব বলেছিলেন, শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে আমি যখন চিঠি দিয়েছি, যারাই বলছে যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তারা চিঠিটা পড়েনি।
এটা হচ্ছে একদম বড় কথা। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি, আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। আকরাম ভাই বার বার বলেছে, আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমার ধারণা উনি চিঠিটি পড়েননি’।
আজকের সভা শেষে সাকিবের ঠিক এই বক্তব্যটি নিয়েই মন্তব্য করেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান আকরাম খান। তিনি সাকিবের টেস্ট খেলার আগ্রহ নিয়ে বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছি দুটি টেস্ট খেলতে, সেখানে ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি নেই। সাকিব চিঠিতে বলেছে, আমরা শ্রীলঙ্কায় যে সিরিজটি খেলতে যাচ্ছি সেখানে সে না খেলে আইপিএল খেলতে চায়।
শ্রীলঙ্কায় কী খেলতে যাচ্ছি সেটা আপনারা জানেন, আমরা জানি, সবাই জানে। এই কথাটা উল্লেখ করা আছে। তারপরও যেহেতু নিজের মুখে বলেছে সে টেস্ট খেলতে চায়, খেলবে’।
সাকিব যেহেতু টেস্ট খেলতে চান, তাই তার আইপিএল যাত্রা নিয়ে আবারও ভাবনাচিন্তা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সে ক্ষেত্রে তার আইপিএলে যাওয়ার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) বাতিল হওয়ার একটা পূর্বাভাস অনুমান করা যায়।
আকরাম আরো বলেন, আমার দায়িত্ব তো শুধু সাকিবকে নিয়ে না, আমার দায়িত্ব পুরো বাংলাদেশকে নিয়ে। আমি এই দায়িত্বে অনেকদিন থেকে আছি। এখন কারও চিঠি যদি আমি ঠিকভাবে না পড়ি… সে তো ওই চিঠিতে ছুটি চেয়েছে। আজকে আমরা ওই ব্যাপারে বৈঠকে বসিনি।
আজ মূলত মিটিং ছিল- আমাদের দল নিউজিল্যান্ডে খেলছে, আগামী ৬-৭ দিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি আছে এবং চিন্তা করেছি আমাদের কোনো ব্যাপার নিয়ে যেন দলের ওপর প্রভাব না পড়ে’।