প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং-এর সম্মানে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে নৈশভোজের আয়োজন করেন। শেখ হাসিনার নৈশভোজ এ লোটে শেরিং হোটেলে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।
উভয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং পদস্থ সরকারি বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সেদেশের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় এলে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা জানান।
জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং হচ্ছেন চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
রাজকীয় ভুটান এয়ারলাইন্স দ্রুক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবতরণ করে।
বিমান থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রী ফুলের তোড়া দিয়ে আগত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান। বিমান বন্দরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং উভয় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরস্পরকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এসময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভার স্মৃতিসৌধে যান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। শেরিং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল তার রোপণ করা মিমুসোপস ইলাঙ্গি ভ্যারিগাতা চারাগাছটিও তিনি পরিদর্শন করেন।
তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে যান এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।