২০২০-২০২১ অর্থবছরেআন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভারতের মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড দরপত্রে সর্বনিম্ন দরপত্র দেওয়ায় তাদের চাল সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১,৪৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯১৬ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য (এডিবি, এএফডি ও ইআইবি ঋণ) ৫৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫৭ টাকা।
খাদ্য অধিদপ্তরের ২১ মার্চের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে মজুদ চালের পরিমাণ ৪ দশমিক ৭৮ লাখ মেট্রিক টন।
আর গম ০ দশমিক ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনা জরুরি।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন এবং জি টু জি ভিত্তিতে ৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জি টু জি ভিত্তিতে আরো ৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৯০ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছে।