পাবনায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাংলাদেশে বৃদ্ধির পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-রক্ষায় চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষামন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষনায় বন্ধ হয়ে গেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা
স্বশরীরে সকাল নয় ঘটিকা থেকে দুপুর তিন ঘটিকা পর্যন্ত সকল শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয় এই কোচিং গুলোতে। কোচিং গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তাদের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তার সু-সস্পষ্ট প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। তালিকাভুক্ত কোচিং গুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুর্স, ভার্টেক্স এডুকেশন
কেয়ার ,উদ্ভাস,অরবিট,প্যারাগন,ওরাকল বিসিএস,রাডার,পাবনা কোচিং সেন্টার,গ্যালাক্সি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার,ইউনিএইড,আরিফস্ ইংলিশ এআইডি, ব্যাসিক নিড এডুকেশন কেয়ার,সাব্বির আইসিটি কেয়ার,পলাশ টিউটোরিয়াল,কবির টিউটোরিয়াল,রাকিব অক্সফোর্ড,তানবীর আইসিটি,এস এম আলাউদ্দিন ম্যাথ,তানভীর ক্যামেস্ট্রি এন্ড বায়োলোজি,মাসুদ ফিজিক্স,রোকন ম্যাথ,সামিউল ম্যাথ,সোহাগ ম্যাথ কেয়ার,উজ্জ্বল ফিজিক্স এআইডি,রসায়ন কর্ণার,নিউরন কোচিং সেন্টার,কনফিডেন্স,সাজ্জাদ ফিজিক্স ব্যাচ ও মোফাজ্জল ক্যামিস্ট্রি সলিউশন।
এ সম্পর্কে পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজ’র এক শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে বলেন ” আমি সাইফুর্স কোচিং’এ সকাল বারোটায় ক্লাস করি আবার দুপুর’র দিকে ভার্টেক্স এডুকেশন কেয়ার কোচিং’এ ক্লাস করি,শুধু আমি নয় আমার সকল সহপাঠীরা ক্লাস করি একত্রে। যদি একদিন কোচিং’এ যাওয়া থেকে বিরত থাকি তখনই আমাদের বাবা/মায়ের মুঠোফোনে বার্তা পাঠায় কিছু কিছু সময় তারা ফোনকল করে এবং আমাদের তাদের প্রতিষ্ঠানমুখী করতে বাধ্য করে। আমাদের সকল ক্লাসের আপডেট দেওয়া হয় কোচিং কর্তৃপক্ষের মুঠো ফোনে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে।
এ সম্পর্কে এক অভিভাবক বলেন “আমরা মূলত আমাদের সন্তানদের যখন তার স্কুল/কলেজে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যায় এই কোচিং কর্তৃপক্ষের কিছু ছাত্ররুপি শিক্ষকগুলো আমাদের হাতে লিফলেট ধরায়ে দেয় বিভিন্ন ছাড়মূল্যর মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের তাদের কোচিং’এ ভর্তি করার জন্য আহবান জানায়।
কিছু সচেতন অভিভাবকগুলো তাদের ফাদে পা দেয় না কিন্তু বেশীরভাগ অভিভাবক এই ফাদে পা দেয়।
ছাত্ররুপি শিক্ষকগুলো বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব যখন স্তব্দ তখন এরা আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উত্তীর্ণ হওয়ার আশা দেখিয়ে কোচিং মুখী করছে ফলে আমাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশের চরম অবক্ষয়’র পাশাপাশি ভয়ংকর করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত করার জন্য হুমকির মুখে ফেলছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন ” কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান রয়েছে এ ব্যাপারে আমরা কিছু প্রমাণাদি পেয়েছি,সুস্পষ্ট প্রমাণ পেলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।