‘জাতীয় দলে যখন খেলার সুযোগ পাই, ভেবেছিলাম মা-ভাইকে অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না। মাথা গোঁজার জীর্ণ বাড়িটা এবার একটু শক্তপোক্ত করে নিতে পারব। কিন্তু আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। তাই না হলে আমার মা-ভাইকে এখনো না খেয়ে থাকতে হবে ক্যান? ঘরে খাবার নেই, কিন্তু তা বলতেও লজ্জা লাগে।’
এভাবেই নিজের হতাশা প্রকাশ করছিলেন বাংলাদেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান মো. ইকবাল হোসেন। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মধ্যকালিকাবাড়ি গ্রামের মৃত মো. ইলিয়াস হোসেন খানের ছেলে ইকবাল হোসেন।
ইকবাল হোসেন দেশ-বিদেশের একাধিক আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান। তবে দেশের জন্য সম্মান আর নিজে অসংখ্য পুরস্কার পেলেও আর্থিক সচ্ছলতা আসেনি ইকবালের পরিবারে। চরম আর্থিক সংকটে মা ও মানসিক প্রতিবন্ধী ভাইকে নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে ইকবালের।
বাগেরহাট আসনের মাননীয় সাংসদ শেখ সারহান নাসের তন্ময় ইকবালের কথা জানতে পারলে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের মাধ্যমে তিনি ইকবালের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার মায়ের জন্য ভালোবাসার উপহার পাঠানো হয়।