দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে স্মরণীয় দিন আজ। ২০০৭ সালের ৭ই মে সেসময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন আ. লীগ সভাপতি; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সেদিন বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত রাজপথে মানুষের ঢল নামে। ২০০৬ সালের ২৮শে নভেম্বর পতন হয়-বিএনপি জামায়াত সরকারের। গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এই সরকারের ভেতরে নানা টানাপোড়েনে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি ক্ষমতা নেয় বিশেষ এক সরকার- যা ‘ওয়ান ইলেভেনের সরকার’ নামে অধিক পরিচিত। এই সরকার রাজনীতিসহ জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে একের পর এক বিধি জারি করে।
এমন পরিস্থিতিতেই ১৫ই মার্চ ২০০৭-অসুস্থ পুত্রবধূকে দেখতে ও নিজের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য সেসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দেয়া হয় চাঁদাবাজির মামলা। তবে, মিথ্যা মামলা মোকাবিলার জন্য সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার প্রস্তুতি শেখ হাসিনা। কিন্তু বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাস না দেওয়াসহ নানা বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে।
সে সময় বিশ্বের ৪১ দেশের ১৫১টি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দেওয়া নিয়ে রিপোর্ট ছাপা হয়।
শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের বেআইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। সরকারের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
৭ই মে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরলে জনতার স্রোত সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা নিয়ে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ প্রধান, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।