ঈশ্বরদীতে দেবরের সঙ্গে বড় ভাবীর পরকীয়া। বারবার বিচার সালিস। এরপর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাসায় ওঠার ১০ দিনের মাথায় ব্যবসায়ী স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ও দেবরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদীর রূপনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল প্রামানিক (৩৫) উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুরের দূবলাচারা গ্রামের ইব্রাহিম প্রামানিকের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্ত্রীর মীম খাতুনের (১৯) সঙ্গে ছোটভাই সাব্বিরের (২৬) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে শাকিল ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কোলাহল লেগে থাকতো। ঘরোয়াভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে মীম বাবার বাড়িতে চলে যান। গত দেড় সপ্তাহ আগে স্ত্রীকে নিয়ে শহরের কলেজ রোডস্থ রুপনগরে একটি ভাড়া বাসাতে উঠেন শাকিল। সেখানেই শুক্রবার রাতে শাকিলের মৃত্যু হয়। শাকিলের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শাকিলের মামা মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহিদ হোসেন তারা মালিথা জানান, গ্রামের বাড়ি পতিরাজপুর থেকে শাকিল প্রায় ১০ দিন পূর্বে স্ত্রী মীমকে নিয়ে শহরের কলেজ রোডস্থ রুপনগর এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে উঠে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাকিলের ফোন থেকে স্ত্রী মীম জানায়, ‘মামা; শাকিল কি যেন খেয়েছে, কথা বলছে না।’ পরে তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় শাকিল মারা গেছে। তবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মীম ও ছোট ভাই সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, লাশ ময়নাতদন্ত পর শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, বেশ কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। নিহতের স্ত্রী ও ছোট ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যু কারণ জানা যাবে।