নিজেদের অপকর্ম ও ব্যর্থতা আড়াল করতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১২ জুন) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা যতই অস্বীকার করুক সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তোষণ নীতি থেকে বের হতে পারবে না।
তিনি বলেন. ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে বিএনপি। নিজেদের অপকর্ম ও ব্যর্থতা আড়াল করতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো তাদের পুরনো অভ্যাস।
কাদের আরো বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করাই সরকারের লক্ষ বরং বিএনপিই একের পর এক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করছে। বিএনপিকে নির্বাচনে বিজয়ের গ্যারান্টি দিলে নির্বাচন কমিশন তাঁদের ভাষায় নিরপেক্ষ, তাঁদের পক্ষে রায় দিলেই বিচার বিভাগ স্বাধীন আর বিএনপি নেতাদের অপরাধ ও দুর্নীতির বিচার না করলে দুদক ভালো।
বিএনপি নিজেরই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে ক্ষমতা পাগল উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপি এখন দিগ্বিদিকশূন্য।
ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার মোহে বিএনপি নেতারা এখন মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না, তাদের চরিত্র এখন দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত। বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় সম্ভাবনাময় দেশ।
যারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়, তারাই দেশকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে কারা তাঁকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল দেশবাসী তা জানে। কারা হামলা ও এর পৃষ্ঠপোষক এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারা জড়িত তা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট হয়েছে।