প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে নিয়ে খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রবিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ ও বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার দৌলতপুরের বেগম (৫০), খানজাহান আলী রোডের শেখ ওহিদুজ্জামান (৬৮), দোলখোলা এলাকার আনোয়ারা (৬২), খুলনা সদরের সরদার হায়বাদ আলী (৫৫), বাগেরহাটের ফুনিয়াবাই এলাকার জাহাঙ্গীর (৫২) ও বাগেরহাটের ডাকবাংলো এলাকার ইলিয়াস ফকির (৬০) ও হাসপাতালের ইয়েলো জোনে উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৭ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন, ইয়ালো জোনে ৪১ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ জন।
বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ডুমুরিয়ার জাকির হোসেন (৫০) ও সালেহা বেগম (৬৭), বাগেরহাটের কাজী আহাদ (২৬), খুলনার বানিয়াখামারের আফতাব হোসেন (৭৬), নড়াইলের হালিমা (৫৫) ও মিন্টু বিশ্বাস (৮১)। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১৫ জন, এর মধ্যে এইচডিইউতে আছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে টুটপাড়ার জহুরুল হক (৬৫) ও ডুমুরিয়ার জাহানারা বেগম (৬০) নামের দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ফোকালপারসন ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, করোনা ইউনিট খোলার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তবে কেউ মারা যাননি।