করোনা সংক্রমণে একদিনে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫২ জনে।বিভাগে নতুন করে ৫৭৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৭১০ জন। সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৮৪ জনে।
একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরগুনায় ২ জন ও ঝালকাঠিতে একজনসহ মোট তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২২ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৩৮ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১৬ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৬১২ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৯ জন নিয়ে মোট ২৮৯২ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৭ জনসহ মোট ২২৯৩ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৯৪ জন নিয়ে মোট ৩১৯৭ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৬৬ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৯০৩ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১১৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৮৭ জন।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩১ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৬১৩ জনের মধ্যে ২৩ জনের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩০৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৭৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।