আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ১৫ থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এ সময় ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে যাত্রীবাহী ৩৮ জোড়া আন্তনগর ও ১৯ জোড়া লোকাল মেইল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে যাত্রীদের মাস্ক পরা ও অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। অর্ধেক আসনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে।
যেসব আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে- সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, মহানগর প্রভাতী, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/ডয়ান এক্সপ্রেস, হাওড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রুপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমির এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
লোকাল ট্রেনগুলো হলো- ঢাকা/চট্টগ্রাম, কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেয়গঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহয়া কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, বিরল কমিউটার, বগুড়া কমিউটার, কলেজ ট্রেন।
গত ৫ এপ্রিল থেকে রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২৩ মে জারি করা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৪ মে থেকে আসন সংখ্যার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জোড়া আন্তনগর এবং ৯ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে ২৩ জুন থেকে আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।