জনগণ ঠিকমতো মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। আর স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে লকডাউন অর্থহীন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঠিকমতো মাস্ক পরিধান করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দল-মত-নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘হাট-বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ আমাদের সুরক্ষিত করতে পারবে না’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একসময় হয়তো হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাবে না, সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে শাণিত হাতিয়ার হচ্ছে মাস্ক।
লকডাউনকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না, – তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ এবং মৃত্যুর উচ্চ হার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবের যে সুযোগ করে দিয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানির পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভিড় না করে, সেদিকে সবাইকে কঠোরভাবে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তা না হলে ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
করোনার এই সংকটকালে এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়, দুস্থ এবং খেটে-খাওয়া মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি দলের দুখী, অসহায় এবং অসুস্থ কর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলের সামর্থ্যবান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন একমাত্র কর্মসূচি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে থাকা।