বরিশাল বিভাগের ছয় হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১০ জন এবং করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৩৩ জনের। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৬ জনে। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৬২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় তিন, পটুয়াখালী জেলায় দুই ও বরগুনা জেলায় চারজনসহ মোট নয়জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, মোট আক্রান্ত ২৪ হাজার ৯৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৯১ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২০২ জন নিয়ে মোট ১০ হাজার ৩০৬ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৭ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ২০ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৪৩ জনসহ মোট ২ হাজার ৩৬৯ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৪৮ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৩৩৭ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৬৬ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৪৩ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১২৭ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২১ জন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩৪ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৬৩৪ জনের মধ্যে ৪৪ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২০ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৫৯ জন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৯০ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৬৯ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৬২.৭৬ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।