জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করাসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনাসহ ১৪ জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
কর্মসূচি অনুসারে আগামী মঙ্গলবার হতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় সব প্রকার জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন অফ থাকবে। এ ছাড়া পাম্পগুলো হতে তেল বিক্রি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
মালিক-শ্রমিকদের চারটি সংগঠন যৌথভাবে এ ধর্মঘট আহ্বান করেছে। সংগঠনগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরি ওয়ার্রকার ইউনিয়ন ও পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাঙ্কলরি ওয়ার্রকার কল্যাণ সমিতি।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করীম কাবুল জানান, জ্বালানি ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আগে পাম্প মালিকদের বিস্ম্ফোরক লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই হতো। ইদানিং সাতটি দপ্তরের লাইসেন্স নিতে হবে। নতুন করে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ পাঁচটি দপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে। এটা জটিল প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবর্তন ও পুলিশি হয়রানি অফ করতে হবে। সেইম সাথে পৌরসভা অঞ্চলে চাঁদা বন্ধ করতে হবে। এসব দাবিসহ ১৫ দফা দাবিতে চারটি কোম্পানী একত্রে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে। তিনি জানান, খুলনাসহ ১৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৪০০ জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী রয়েছেন। ধর্মঘটের ব্যাপারটা সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়ে গিয়েছে ও পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
অন্যান্য দাবির ভিতরে রয়েছে- ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, তা শিওর করতে হবে; প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা আরম্ভ করার জন্য হবে, ট্যাঙ্কলরি ভাড়া বাড়াতে হবে, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স বরণ বাতিল করার জন্য হবে।