জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ সালে কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। পরিবেশ ও শিক্ষাগত দিক থেকে কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অবস্থান অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম।
কলেজের উত্তর পাশে মেঘনা সংযোগ খাল, মহাসড়ক খালের পাড়ে, সারিবদ্ধ পরিকল্পিত ফলজ, বনজ, ঔষধী গাছের বাগান ছাত্রাবাস, শিক্ষক আবাসন পূর্বে পাশে দ্বিতল বিশিষ্ঠ দালান, দালানের ঠিক চারিদিকে সবুজ বনায়ন সমৃদ্ধ বিশাল এক পুকুর, শান বাধানো ঘাট, অনেকটা নীল অথচ সচ্ছ জলরাশি অনেককেই বিমোহিত করে। দক্ষিণ পাশে দ্বিতল, তিনতলা বিশিষ্ট দালান অকেটাই নৈসর্গিক পরিবেশ দান করেছে। মাঝখানে বিশাল আকৃতির মাঠ। আর এ মাঠেই এতদ অঞ্চলের প্রতিভু খেলোয়াড়দের দক্ষতার পরিচয় ঘটে। প্রতিনিয়তই পশ্চিম পাশে দ্বিতল বিশিষ্ট হলুদ রঙ্গে আবৃত কলেজ মসজিদ এ কলেজের পরিবেশকে নতুন রঙ্গে সাজিয়ে দিয়েছে।
কোন জাতি বা জনগোষ্ঠীর অগ্রযাত্রার ও উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো শিক্ষা। যতদিন পর্যন্ত কোন জাতি শিক্ষিত না হবে ততদিন তাদের অবহেলা, গঞ্জনা, বঞ্চনার অবসান সম্ভব হবে না। আর এই মহাসত্যকে উপলব্ধি করেই যুগে যুগে মহামানবগন মানবজাতির মুক্তি ও কল্যানের নিমিত্তে শিক্ষাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসে সহজলভ্য ও সহজসাধ্য করার প্রয়াস চালিয়েছে। এই মহান প্রচেষ্টা ফসল হিসেবে দানবীর কফিলউদ্দিন মিয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টার ১৯৭২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রবেশদ্বারে গড়ে উঠছে কফিলউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। পড়ালেখার মান পরীক্ষার ফলাফল এবং কলেজ পরিচালনা পর্যদের সম্মানিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব এম আলাউদ্দিন মহোদয়, কলেজ অধ্যক্ষ সরকার মোঃ জোবায়েদ আলী, পরিচালক পর্যদ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর সার্বিক পর্যবেক্ষণে এই কলেজকে কুমিল্লা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজ সমূহের মধ্যে একটি অন্যতম মর্যদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
অধ্যক্ষ জনাব সরকার মো: জোবায়েদ আলি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। জাতীয় উন্নতিতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বর্তমান যুগে জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিই হচ্ছে শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ। প্রতিযোগতিার এই বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য বেছে নিতে হবে যুগোপযোগী মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোঃ কফিল উদ্দিন মিয়া প্রতিষ্ঠার পর থেকে লক্ষীপুর জেলার মধ্যে একটি অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
লক্ষীপুর জেলা ও চন্দ্রগঞ্জ বাসীর প্রতি প্রতিশ্র্বতিবদ্ধ হয়েই ১৯৭২ সাল থেকে কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মান সম্পন্ন কৃতিত্বের সহিত বহতা নদীর মতোই অগ্রসর হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকলের নিকট আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করছি।