চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যে উড়োজাহাজটি গিয়েছিল, তার দুজন পাইলটকে সিঙ্গাপুরে যেতে ভিসা দেয়নি দেশটি। ঐ দুই পাইলটকে বলা হয়েছে, যেহেতু তারা করোনা ভা’ইরাসের প্রা’দুর্ভা’ব ঘটা উহান নগরীতে গিয়েছিলেন, সে কারণে এখন তাদের ভিসা দেওয়া সম্ভব নয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক অবশ্য বলেছেন, এতে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো সম’স্যা হবে না। কারণ পর্যাপ্ত পাইলট রয়েছে বিমান বাংলাদেশের।
তবে চীনে সরকারি-বেসরকারি আর কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছে, তাদের আর আসতে দেওয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে করোনা ভা’ইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, চিকিত্সক ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরো ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাদের আনতে স’মস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যারা আসতে চাইছেন, তাদের চীনের কোনো এয়ারলাইনসের ভাড়া করা উড়োজাহাজে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কো’য়ারে’ন্টাইনে রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।