ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ভাষা সৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ (৯০)। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর স্ট্রোক করার পর তার ডান হাত ও পা অ”বশ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিষ্কারভাবে কথাও বলতে পারেন না তিনি। কাউকে দেখলে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন আর হাউমাউ করে কাঁদেন। এছাড়া হার্টের সমস্যা সহ নানা রোগে ভুগছেন তিনি। এখন তার দিন কাটছে বিছানায় শুয়ে।
সারা জীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়ো”জিত রেখে”ছিলেন আব্দুল মালেক। সন্তান ও পরিবারে”র ক”থা ভাবেননি। বে”কার ছেলেদেরও সামর্থ্য নেই বাবার চিকিৎসা করানোর। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা”য় তার খাওয়া-পরা ও চিকিৎসা চলছে।
আব্দুল মালেকের সার্বক্ষণিক সঙ্গী স্ত্রী সুরাইয়া মালেক। তিনি জানান, পরিবারের জন্য তার স্বামী জী”বনে কিছুই করতে পারেন”নি। ব্যাংকে জমানো কোন টাকা নেই। অর্থা”ভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করা”তে পার”ছেন না। স্বামীর উন্নত চিকিৎসা”র জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহ”যোগিতা চেয়েছেন।
মুক্তাগাছা”র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ক’মান্ডার আবুল কাশেম জানান, ভাষা সৈ’নিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল মালেক সা”রা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। নিজের ও পরিবারের কথা ভাবেননি। শেষ জীবনে এসে চিকিৎসা করানোর টাকাও নেই তার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার আব্দুল মালেকের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেব এটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ জানান, ভাষা সৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেকের চিকিৎসার সব দায় দায়িত্ব সরকার বহন করবে।