অধ্যক্ষের নির্দেশে প্রধান ফটক তা”লা মেরে বন্ধ করে দেওয়া ও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান গেটের তা”লা ‘সুপা”র” গ্লু’ দিয়ে আটকে দেওয়ার প্রতি”বাদে বিক্ষোভ করেছেন ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে কলেজে এসে প্রধান ফটক ও শ্রেণিকক্ষ তালা”বদ্ধ দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করেই কলেজ থেকে ফিরে যান। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষো”ভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও গণিতের বিভাগীয় প্রধান ম্যুরারি মোহন দাস, ইংরেজি বিভাগের প্রধান রবিউল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম ও দর্শন বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো এই কলেজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের প্রধান ফটক তা”লা মে”রে ব”ন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আ”ন্দোলনে আমরাও দাবি জানিয়েছি। অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করা হোক। এই দাবিতে গণ”স্বাক্ষর যুক্ত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রদান করা হবে।
কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও গণিতের বিভাগীয় প্রধান ম্যুরারি মোহন দাস বলেন, অ”ধ্যক্ষের নির্দে”শে কলেজের প্রধান ফটকে আমি তালা মেরে”ছি, এখন শিক্ষার্থীরা আ”ন্দোলন করছে জেনে তিনি আমাকে ‘পরিবেশ শান্ত রাখতে যা যা করা প্রয়োজন’ তা করতে বলেছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কলেজের প্রধান ফটকে তা”লা মারা”র কথা স্বীকার করেছেন।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ সম্পর্কে বলেন, আদালতের নির্দেশনায় কলেজের প্রধান ফটকে তালা মেরে বন্ধ করা হয়েছে। তবে কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পেছনে একটি গেট তৈরি করে দেওয়া হবে।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা অভি”যোগ করে জানান, কলেজের সামনের ১ দশমিক ২৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে বিচারা”ধীন মা”মলায় কলেজের বি”পক্ষে অবস্থান নিয়ে কলেজের প্রধান ফটক তা”লা মে”রে ব”ন্ধ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ ও ৪ শিক্ষক। এ ঘটনার প্রতি”বাদে শিক্ষার্থীরা বি”ক্ষোভ করেন।