সরকার ভারতের সাথে ৪,১৪২ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সাথে ২৭১ কিলোমিটার অর্থাৎ সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ৪,৪১৩ কিলোমিটার স্থল সীমান্তে সড়ক নির্মাণ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার দেশের সব স্থল সীমান্ত ঘিরে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষা, চো’রাচালান ও রো’হিঙ্গা অ’নুপ্রবেশ বন্ধ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ২৭১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কয়েক মাস পুর্বে। ইতিমধ্যে সড়কের বেশ কিছু কাজ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপাড়ি এলাকা থেকে শুরু হয়ে সীমান্ত সড়কের কাজ উত্তরদিকে ঠান্ডাঝিরি নামক স্থানের পূর্ব দিকে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ১৬ ইসিবি এই সড়ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকা থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে উখিয়ার পালংখালী হয়ে টেকনাফের নাফনদীর কূলঘেঁষে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষা বাঁধ তথা সড়ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ১৪১ কোটি টাকা। সড়কটি নির্মিত হলে মা’দক-অ’স্ত্র চো’রাচালান, রো’হিঙ্গা অ’নুপ্রবেশসহ সীমান্তের সকল অপ’রাধ দ’মনে বিজিবি জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। বাড়বে সীমান্ত নিরাপত্তাও।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত খালের পাড় ঘেঁষে বাংলাদেশ অংশে নির্মিত হচ্ছে সীমান্ত সুরক্ষা সড়ক। মাটি ভরাটসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা। তাদেরকে পাহারা দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
যদি সীমান্ত ঘিরে রাস্তা তৈরি হয়ে যায় তাহলে গহীন অরন্য বলে কিছু থাকবে না। সবটুকুই নজরদারির ভেতর চলে আসবে। স’ন্ত্রাসীদের নিরাপদ ঘাটি আর নিরাপদ থাকবে না। বার্মা সীমান্ত পার হয়ে পার্বত্য অঞ্চলে অ’স্ত্র এবং মা’দক ঢুকানো এত সহজ হবে না।