খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণআন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গণআন্দোলন শুরু করতে আর বিলম্ব করা যাবে না। এই মুহূর্তে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল শেষে রিজভী এসব কথা বলেন। এরআগে শতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এই গণআন্দোলন গড়ে তোলতে আর দেরি করা হবে না।
রিজভী বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই গণআন্দোলন শুরু করতে আর বিলম্ব করা যাবে না, এ মূহুর্তে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক সরকার, অনির্বাচিত সরকার।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই সরকার দেশের অর্থনীতিটা ধ্বংস করে দিয়েছে। অসংখ্য বেকার তরুণ হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত। চারদিকে শুধু নৈরাজ্যের বিভীষিকা। দেশের জনগণ এক ভয়ঙ্কর অশান্তির মধ্যে দিনযাপন করছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করছে। কিন্তু এই ভয়কে উপেক্ষা করেই দেশের জনগণ এই সরকারের পতনের জন্য এখন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির, সাবেক সদস্য ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক ছাত্রনেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, মামুন ভূঁইয়া, মেহেবুব মাসুম শান্ত, কায়সার আপেল, নাজমুল হুদা, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনি, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান হীরু প্রমুখ।