সাধারণের চাইতেও সাধারণ। ফতুয়া লুঙ্গি র বাঙালি। নানার জমিদারির খাজনা উশুল করতেন। পরে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪০ বিঘা জমিও পেয়েছিলেন। কিন্তু অায়েসী জীবন নয় ঝোঁক ছিলো অন্যকিছুর।
শুরুতে একটি স্কুলের মেধা তালিকায় প্রথম দশ জনকে বই উপহার দিতেন। দেখলেন অারো অনেকে বই পড়তে চায়। কি করা উচিত ছিলো? অামরা হলে সুবিধামতো জায়গায় বইয়ের দোকান খুলে বিক্রি করতাম সাথে নিজেকে তুলে ধরার কাজও চালাতাম।
তা না করে করলেন উল্টো কাজ। অামাদের অনেকেরই মধুমেহ রোগ অাছে। অামারও অাছে। চিকিৎসক বলার পর থেকে হাঁটি অার হাঁটি। পৃথিবীর পথে হাঁটায় মধুমেহ রোগীদের জীবনানন্দ ও ঠেকাতে পারবেন না। তিনি শুধু হাঁটলেন না বই নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন।
পরে তাঁর ব্যাগে কি শুধু বই থাকতো? থাকতো অক্ষয় জ্যোতি। সদা দীপ্ত রহে যে জ্যোতি। সাধারণ মানুষ তো প্রচার অপপ্রচার কিছুই বুঝতেন না। অালোর মতো ঘুরে বেড়িয়ে মানুষকে অালোময় করতেন।
কেমন করে জানি ইত্যাদির চোখে পড়ায় একুশে পদকও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাল যে বইমেলা শেষ হলো রমরমা জমজমাট ভীড়ে একবারের জন্য ও কি অামরা তাঁকে মনে করেছি? প্রথম মৃত্যু দিনে শ্রদ্ধা ও প্রণাম বইওয়ালা পলান সরকার।