বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সরকারের তরফ থেকেও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে নেই। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত (৩ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশসহ মোট ২৫ দেশ কভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তাদের জন্য ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের জরুরি তহবিল দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি ২৪টি দেশ হলো- আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কাজাখস্তান, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, বার্মা (মিয়ানমার), কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, লাও, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা জানানো হয়েছে, যে ২৫ টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের জন্য ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের জরুরি তহবিল দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডি-র কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য এই তহবিল দিচ্ছে। এটি গত ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিশ্রুত ১০ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো জায়গার সংক্রামক-রোগের হুমকি সর্বত্রই হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই অন্যান্য দাতাদেরও কোভিড-১৯ মোকাবেলার লড়াইয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই অর্থ গবেষণাগারগুলোকে বিপুলসংখ্যায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা, প্রবেশ পয়েন্টগুলোর জন্য একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, সক্রিয়ভাবে আক্রান্তের ঘটনা চিহ্নিত করা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতার জন্য নির্দিষ্ট ঘটনাভিত্তিক নজরদারি চালু করা, দ্রুত সাড়া প্রদানকারী টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উপকরণে সজ্জিত করা, আক্রান্তের ঘটনা তদন্ত করা, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া লোকজনকে চিহ্নিত করা এবং কোভিড-১৯ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ উপকরণ তৈরি করার কাজে ব্যয় হবে।