একটি চক্র বিগত কিছু দিন ধরেই মানিকগঞ্জ – ২ আসনের সংসদ সদস্য ও দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচার চালাচ্ছে ।ক্যাসিনো কান্ডের এনু-রুপনের ওয়ারীর মমতাজ ভিলাকে এমপি মমতাজের বাড়ি আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে এ অপপ্রচার।কিন্তু ঢাকার ওয়ারীর মমতাজ ভিলার সম্পূর্ণ মালিক ক্যাসিনো কাণ্ডের হোতা দুই সহোদর এনু-রুপন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেলে সরাসরি টাকা উদ্ধারের সরজমিনে ওই বাসায় উপস্থিত ছিলো।
যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এনু-রুপনের টাকা রাখার সেই গোপন আস্তানা।অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা ও সোনাদানা রক্ষা করতে সেগুলো নিয়ে পুরান ঢাকার ওয়ারীর মমতাজ ভিলায় জমিয়ে রাখতেন ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের মুখে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাদের।
সিআইডি ও র্যাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুই সহদরের মালিকানাধীন ‘মমতাজ ভিলা’ র্যাব অভিযান চালিয়ে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা ও এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করে।
র্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এনু-রুপন দুই ভাই প্রথম অভিযানের পর এবং সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ এর এই বাসাটিতে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন। কখনোবা এই বাসাতেই রাত্রিযাপন করতেন।
এনু-রুপন গ্রেফতারের আগে ওয়ারীর ১১৯/১ নম্বর বাসাটির সন্ধান জানত না কেউ। গত সেপ্টেম্বরে অন্তত ২৬ টি বাড়ির তথ্য শোনা গেলেও ১৫টি বাড়ির সন্ধান পেয়েছিল র্যাব। ওইসব বাসায় অভিযান চালানোর পর কয়েকটি বাড়িতে টাকা, স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা মেলে।র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, এনু-রুপনের প্রত্যেকটি বাসাতেই মমতাজ ভিলা লেখা রয়েছে। ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের আশেপাশে অন্তত ১২টি বাড়িতে মমতাজ ভিলা লেখা রয়েছে। পাশে আরেকটি ১০তলা মমতাজ ভিলা রয়েছে।
এনু-রুপনকে কেরানীগঞ্জ থেকে সিআইডি গ্রেফতারের পর জানিয়েছিল, গ্রেফতারের সময় এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া পেয়েছে। এ ছাড়া নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এছাড়া অন্তত ২৬ টি বাড়ির তথ্য জানতে পারে সিআইডি।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক রাসেল হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বে মহান জাতীয় সংসদে আমাদের মানিকগঞ্জ – ২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জামাত-শিবিরের অপতৎপরতা,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা নিয়ে কথা বলেন।
যার দরুন তখন থেকেই কিছু লোক আমাদের এমপির বিরুদ্ধে ফেসবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন পন্থায় তাকে হেয় পতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন পেইজে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে বুষ্ট করে তাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কিছু তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে; যা হরিরামপুর-সিংগাইরের জনগণ কিছুতেই তা মেনে নিবে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে, এবং রাজপথেও গুজব ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দিবে এই অঞ্চলের জনগণ’।
এদিকে অপপ্রচারের বিষয়ে মানিকগঞ্জ- ২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘বিগত কয়েকদিন যাবৎ ইউটিউব ও ফেসবুকে জামাত শিবিরের একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। নানা ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আমার কথা হয়েছে, অতি দ্রুত এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।