প্রবল গরমেই কি মুক্তি মিলবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে UNICEF. একটি নির্দেশিকা ও সতর্কীকরণ বার্তায় রাষ্ট্রসংঘ শিশু তহবিল জানিয়েছে, ভাইরাসটি ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরমের বেশি সহ্য করতে পারে না।
এখানেই খানিকটা আশার আলো গবেষকদের। কারণ এশিয়ার প্রায় সর্বত্র প্রবল গরম পড়তে চলেছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই পারদ সূচক ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে যাবে। ক্রমে তা আরও বাড়বে। বিভিন্ন স্থানে কম বেশি ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে গরম।
এই উষ্ণতায় করোনাভাইরাসের বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলেই ইউনিসেফ রিপোর্টে উঠে এসেছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, গরমের সময় আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় খেলেই বিপদ। এর থেকে দূরে থাকতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে ছড়ানো অন্য কারোর দেহের সংস্পর্শে বিশেষ করে হাতে মোটামুটি ১০ মিনিটের মতো জীবন্ত থাকে। ফলে হাত পরিছন্ন করা খুব দরকারি। এর জন্য alcohol sterilizer ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসটি মূলত নাক-মুখ থেকেই ছড়ায় বেশি। আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ সর্দি-জ্বর হয়। তারপর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এই অবস্থায় সেই ব্যক্তি থেকে কমবেশি ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
করোনাভাইরাসের হামলায় চিন ইতিমধ্যে মৃত্যুপুরী। ৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস সংক্রমণ। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চিনের বাইরে বিভিন্ন দেশে শতাধিক মানুষ মত।
চিনের প্রতিবেশী ভারত সহ ১৪টি দেশ। এই দেশগুলির মধ্যে করোনাভাইরাস এতদিন তেমন বড় আকার নেয়নি। কিন্তু বুধবার ভারতে ১৫ জনকে সংক্রামিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় চিন্তিত ভারত সরকার। জারি হয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্য নির্দেশ।