করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন।
আজ ১০ মার্চ মঙ্গলবার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই নির্দেশনা জারি করেন।
জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় সরকার ইতিমধ্যে সংক্রমণ রোধে ও আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাই করোনাভাইরাস রোধে আমাদের সবার সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীন সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তাই করোনা মোকাবিলায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশনা ও পরামর্শ তুলে ধরা হলোঃ২০১৯ এন-করোনা ভাইরাস
বিভিন্ন শ্রেণির করোনাভাইরাসের মধ্যে যে ৭ প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে তার একটি হলো ২০১৯ এন-করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস।
যেভাবে ছড়ায়
★ এখন মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হচ্ছে।
★ এ ভাইরাস কোনও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে
★করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং
★শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/থুথু) অথবা
★ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।
করোনার লক্ষণঃ
★ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন লাগে
★বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর
★এছাড়া শুকনো কাশি/গলা ব্যথা হতে পারে
★শ্বাসকষ্ট/নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে
★অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/শ্বাসকষ্ট/ হৃদরোগ/ কিডনি সমস্যা/ ক্যান্সার ইত্যাদি) থাকলে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
করোনাভাইরাসের প্রতিকারঃ
★যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোনও টিকা/ভ্যাকসিন এখনও নেই;
★চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়ঃ
★ব্যক্তিগত সচেতনতা
★ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ);
★অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না;
★ইতোমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে;
★কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে (হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে);
★ অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে;
★মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে;
★ অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, বাইরে যাওয়া আবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে;
★জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজন ব্যতীত এ সময়ে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে;
★প্রবাসী আত্মীয়স্বজনদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে;
★প্রয়োজন ছাড়া যেকোনও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে;
★অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে করণীয়ঃ
★অসুস্থ রোগীকে ঘরে থাকতে বলুন;
★ মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যেতে বলুন;
★ রোগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন;
★ রোগীর নাম, বয়স, যোগাযোগের জন্য পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করুন এবং
★আইইইডিসিআরের করোনা কন্ট্রোল রুমে (০১৭০৫-৭০৫৭৭) এবং হটলাইন নম্বরে (১৪৩৭-১১০০১৯, ০১৯৩৭-০০১১, ০১৯২-১১৭৮৪, ০১৯২৭-৭১১৭৫) যোগাযোগ করুন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বিশেষ নির্দেশনা জারি
মোহাম্মদ হাসানঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন।
আজ ১০ মার্চ মঙ্গলবার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই নির্দেশনা জারি করেন।
জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় সরকার ইতিমধ্যে সংক্রমণ রোধে ও আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাই করোনাভাইরাস রোধে আমাদের সবার সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীন সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তাই করোনা মোকাবিলায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশনা ও পরামর্শ তুলে ধরা হলোঃ২০১৯ এন-করোনা ভাইরাস
বিভিন্ন শ্রেণির করোনাভাইরাসের মধ্যে যে ৭ প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে তার একটি হলো ২০১৯ এন-করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস।
যেভাবে ছড়ায়
★ এখন মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হচ্ছে।
★ এ ভাইরাস কোনও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে
★করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং
★শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/থুথু) অথবা
★ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।
করোনার লক্ষণঃ
★ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন লাগে
★বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর
★এছাড়া শুকনো কাশি/গলা ব্যথা হতে পারে
★শ্বাসকষ্ট/নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে
★অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/শ্বাসকষ্ট/ হৃদরোগ/ কিডনি সমস্যা/ ক্যান্সার ইত্যাদি) থাকলে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
করোনাভাইরাসের প্রতিকারঃ
★যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোনও টিকা/ভ্যাকসিন এখনও নেই;
★চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়ঃ
★ব্যক্তিগত সচেতনতা
★ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ);
★অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না;
★ইতোমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে;
★কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে (হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে);
★ অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে;
★মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে;
★ অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, বাইরে যাওয়া আবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে;
★জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজন ব্যতীত এ সময়ে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে;
★প্রবাসী আত্মীয়স্বজনদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে;
★প্রয়োজন ছাড়া যেকোনও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে;
★অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে করণীয়ঃ
★অসুস্থ রোগীকে ঘরে থাকতে বলুন;
★ মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যেতে বলুন;
★ রোগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন;
★ রোগীর নাম, বয়স, যোগাযোগের জন্য পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করুন এবং
★আইইইডিসিআরের করোনা কন্ট্রোল রুমে (০১৭০৫-৭০৫৭৭) এবং হটলাইন নম্বরে (১৪৩৭-১১০০১৯, ০১৯৩৭-০০১১, ০১৯২-১১৭৮৪, ০১৯২৭-৭১১৭৫) যোগাযোগ করুন।