ভেজাল বিরোধী অভিযান নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে র্যাব মহাপরিচালক ও শিল্পমন্ত্রী। র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এর মতে, ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারীরা সমাজের জন্য নিরব ঘাতক। তাই কারো তদবির না শুনে আইনের কঠোর প্রয়োগ চান তিনি। তবে ভেজাল বিরোধী অভিযানে র্যাবকে দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূ
খাদ্যপণ্য থেকে প্রসাধনী সামগ্রী এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ-সবক্ষেত্রে ভেজালের দাপট। নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রায় সব পণ্যই নকল হচ্ছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন ক্রেতারা।জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে এলিট ফোর্স-র্যাব। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের ভেজালবিরোধী প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এসময় ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল’সহ আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যদি মার্কেটে গিয়ে দেখেন, কোম্পানিকে কে দেওয়া লাইলেন্সের ক্রুটি রয়েছে। ওই কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তার প্রোডাকশন বাতিল করা হবে। এর দায় কোম্পানিকে নিতে হবে। অনুষ্ঠানে ভেজালবিরোধী অভিযানে র্যাবের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ভেজালবিরোধী অভিযান চালানোর জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই’সহ অন্যান্য সংস্থা আছে। এখানে র্যাবের কোন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য তার।তিনি বলেন, র্যাব সবকিছু করবে? র্যাব তো আর হলুদ না যে সব তরকারিতে দিবে। র্যাব আমাদের সহযোগিতা করবে যখন আমরা চাইবো। যেসব ক্ষেত্রে ভোক্তাদের জীবনঝুঁকির মধ্যে পড়ে সেসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন, ভোক্তা