স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারের আওতায় বিদ্যুতের সব গ্রাহকদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ৮৮ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ চলছে। জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬শ’ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করবে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ১১ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার, বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেমন বোর্ড (বিআরইবি) দুই লাখ ৫০ হাজার, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ৭৬ হাজার ৬শ’, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড ডেসকো) ২ লাখ, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) ২ লাখ ও নর্দার্ন ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নেসকো) ৪ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার দেশে সিস্টেম লস লাঘব, বিদ্যুৎ চুরি ও বকেয়া বিল বন্ধে সকল গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে সরকার সকল নাগরিকের বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৭৮৭ মেগাওয়াট। আমরা নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। খবর বাসস’র
পাওয়ার সেলের মহা-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি সারাদেশে ২৮ হাজার ৮৬ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করেছে। এর মধ্যে বিপিডিবি ১১ লাখ ৩২ হাজার ৮৩টি স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার, বিআরইবি ৮ লাখ ১০ হাজার ৫৯০টি, ডিপিডিসি ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫২টি, ডেসকো ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৮টি, ডব্লিউজেডপিডিসিএল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯১টি ও নেসকো ১৮ হাজার ৮৯৪টি স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরকার গ্রাহকদের খোলা বাজার থেকে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার কেনার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধন্তের ফলে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা সৃষ্টি করবে, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করবে এবং এই খাতে বিশাল বিনিয়োগ এড়ানো সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে, সরকার একটি নীতি প্রণয়ন করেছে, যা গ্রাহকদের খোলা বাজার থেকে মানসম্মত স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার কিনতে, তা স্থাপন ও পরিচালনায় সহায়তা করবে।