প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সার্ক ভুক্ত দেশগুলোর একটি শক্ত কৌশল গ্রহণে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবকে একটি ভালো প্রস্তাব হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্ত কৌশল গ্রহণ করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদানে সম্মতি দিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মোদি করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াই করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দকে একটি কৌশল গ্রহণের প্রস্তাব দেন।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের সুস্থ রাখার উপায় বের করতে আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করতে পারি।
টুইটের কয়েক ঘণ্টা পরই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস ভিডিও কনফারেন্স সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় পৌছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছি এবং তিনি আমাকে বলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের নেতারা যদি অংশ নেন তবে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে রাজি আছেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় হাই কমিশন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহের নেতৃবৃন্দ ভিডিও কনফারেন্স বিষয়ে তাঁদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দিতে সম্মতি জানিয়েছেন।মূলত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দক্ষিণ এশিয়ার জনগণকে রক্ষা করাটা হবে একটি রাজনৈতিক সংহতির প্রদর্শনী।
ভিডিও কনফারেন্সটি কখন অনুষ্ঠিত হবে গণমাধ্যম জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারিখ ও সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটা খুব শিগগিরই হবে।তবে ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনার আলোচনার বিষয় প্রস্তুত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
মোদি তাঁর টুইট বার্তায় বলেন, একসঙ্গে আমরা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি এবং কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সুন্দর পৃথিবী গড়তে অবদান রাখতে পারি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও এক টুইটে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এ অঞ্চল ও বিশ্বের এই কঠিন সময়ে দক্ষিণ এশীয় নেতাদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার অপেক্ষায় আছেন।