করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডব্লিওএইচও জানায়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, “পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরো মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের দ্রুত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।”
তিনি বলেন, “বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে আমাদের আরো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সাথে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর।
ডক্টর ক্ষেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “কেবল এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।”
তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরো শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন জরুরি অবস্থায় নেয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরো বাড়াতে হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য সেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছা প্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিওএইচ এর ওই প্রতিবেদনে। সংস্থাটির দেয়া পরিসংখ্যান মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে: থাইল্যান্ড ১৭৭, ইন্দোনেশিয়া ১৩৪, ভারত ৩৭, শ্রীলঙ্কা ১৯, মালদ্বীপ ১৩, বাংলাদেশ ১০ এবং নেপাল ও ভুটানে একজন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা