ভয়াল ২৫ মার্চ ১৯৭১ঃ জাতীয় গণহত্যা দিবস।সে ভয়াল রাতের ৪৯ বছর পূর্ণ হলো। সারাদিন ধরেই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জেনারেল এসজিএমএম পীরজাদার টেলিফোনের অপেক্ষা করছিলেন, যার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে। কিন্তু সেই ফোন আর আসেনি। সারা বিকেল ধরে পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তারা সারাদেশে উড়োজাহাজে চড়ে টহল দিতে থাকে, সকল ধরনের সামরিক সংস্থার সদস্যদের বার্তা দিতে থাকে অবশ্যম্ভাবী এক সামরিক অপারেশনের জন্য সদাপ্রস্তুত থাকতে।
গোধূলি বেলা পার হবার সাথে সাথেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তিপ্রয়োগ শুরু হবে যেকোনো সময়। দলের সহকর্মী এবং অন্যান্য অনেকেই বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে তাঁর বাসভবনে চলে যান। তিনি তাঁর পক্ষ থেকে সকলকে ঢাকা ত্যাগ করার উপদেশ দেন। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে দেন, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না, তিনি এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলেন, যদি তিনি যদি কোথাও চলে যান তাহলে সামরিক বাহিনী ঢাকাকে গুড়িয়ে দেবে।
এরপর অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাকিস্তানি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে করাচি ফিরে যান। সমস্ত আয়োজনই ছিল পরবর্তীতে কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রস্তুতি। বিমানে চড়ার আগেই উচ্চতর সামরিক কমান্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান বাঙালিদের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করতে, তবে তা রাষ্ট্রপতি করাচিতে অবতরণের আগে নয়। পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা মেজর জেনারেল খাদেম হোসেন রাজাকে এই বার্তাই দেন। “খাদেম, ইটস টুনাইট”, বলেন টিক্কা, যা ছিল বাঙালিদের উপর সামরিক আক্রমণ শুরুর প্রথম ইঙ্গিত।
একাত্তরের উত্তাল এ দিনে অপারেশন সার্চ লাইট। ইতিহাসের এক বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের নাম। রাতের অন্ধকারে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভিষিকাময় রাত নেমে আসে। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানানদার বাহিনী কাপুরুষের মত তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাত ১১টা। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিপ ও ট্রাক বোঝাই পাকিস্তানি সৈন্য ট্যাঙ্কসহ আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে শুরু করে তাণ্ডবলীলা। হতচকিত বাঙালি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। মধ্যরাতে ঢাকা পরিণত হয় লাশের শহরে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে পাকিস্তানিদের হাতে ঢাকায় ৭ হাজারের বেশী লোক শহীদ হন, গ্রেফতার হয় আরো ৩ হাজার। আর সেই রাতের ভয়াল স্মৃতি এখনো তাড়া করে কোনরকম প্রাণে বেঁচে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের।
আকাশে তারার মেলা। শহর গভীর ঘুমে নিমগ্ন। ঢাকার বসন্তের রাত যেমন চমৎকার হয়, তেমনি ছিল রাতটি। একমাত্র হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ সাধন ছাড়া অন্য সবকিছুর জন্যই পরিবেশটি ছিল চমৎকার’ (দ্র. সিদ্দিক সালিক, নিয়াজীর আত্মসমর্পণের দলিল, পৃ. ৮৪) কিন্তু হানাদার বাহিনী ফার্মগেটের সামনে এলেই পিকেটারদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং পিকেটারদের হটানোর জন্য জিরো আওয়ারের অপেক্ষা না করেই গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুরু হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। অপারেশন শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কর্নেল জেড এ খান ও মেজর বিল্লাল স্বাধীনতার স্থপতি, অবিসংবাদিত নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার বাসা থেকে তুলে ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে আসে এবং ৩ দিন পর তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেফতারের আগ মূহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গোপন ওয়ারলেস বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ছাত্র-জনতা-পুলিশ-ইপিআর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বস্তরের নাগরিকদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবিলা করুন। এই হয়তো আপনাদের প্রতি আমার শেষ বাণী হতে পারে। আপনারা শেষ শত্রুটি দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।’ নিচে দেখুন সাইন করা ঘোষণার কপি-এদিকে পিলখানায় ইপিআর ব্যারাক ও অন্যান্য স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার লিখিত বাণী ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারাদেশে মেসেজ আকারে পাঠানো হয়। এই বার্তা চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দফতরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশী জাহাজও এই বার্তা গ্রহণ করে। ঐ সময় চট্টগ্রাম অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী সাইক্লোস্টাইল করে রাতেই শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন। রাত ১টা বাজার সাথে সাথে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা পিলখানা ইপিআর হেড কোয়ার্টারে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় কোয়ার্টারে গার্ডে ১৮ জন বাঙালি জওয়ান থাকলেও তারা পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পায়নি। পিলখানার সাথে সাথে রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারী বাজারসহ সমগ্র ঢাকাতেই শুরু হয় প্রচণ্ড আক্রমণ। রাজারবাগে পুলিশের বাঙালি সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাদের সামান্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই। তবে ট্যাংক আর ভারী মেশিনগানের মুখে এ প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়া হয় পুরো সদর দফতর। বিভিন্ন এলাকাতে যথেচ্ছ হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী । পাকিস্তানি বর্বর সেনারা বাংলাদেশকে সশস্ত্র উপায়ে স্বাধীন করার উদ্যোক্তা কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ইকবাল হল (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) এবং জগন্নাথ হলে হত্যা করা হয় কয়েকশ নিরীহ ছাত্রকে এবং বড় বড় গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয় ওইসব লাশ। ওই কালো রাতেই হত্যা করা হয় ক্ষণজন্মা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দার্শনিক অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরদা, ড. ফজলুর রহমান খান, অধ্যাপক এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক এম এ মুক্তাদির, অধ্যাপক এম আর খাদেম, ড. মোহাম্মদ সাদেক প্রমুখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে। রোকেয়া হলের মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়া হলো ক্যান্টনমেন্টে। সারা শহরে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাষণ্ড বাহিনী। রিকশাওয়ালা, ভিখারি, শিশু, ফুটপাতবাসী কেউই তাদের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি। বস্তির পর বস্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রাণভয়ে পলায়নপর আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাকে ব্রাশফায়ারে পাখির মতো হত্যা করা হয়। ভস্মীভূত করা হলো দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, সাপ্তাহিক গণবাংলা এবং দৈনিক পিপলের দফতর। মিরপুর, মোহাম্মদপুরের বিহারিরা নিজেদের বাঙালি প্রতিবেশীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো হিংস্র উল্লাসে। রাতারাতি ঢাকা পরিণত হল মৃত মানুষের শহরে। ২৬ মার্চের সূর্য উঠলে দেখা গেল ঢাকা শহরজুড়ে নিরীহ মানুষের লাশ ও ভস্মীভূত ঘরবাড়ি। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামের মাইলাই গ্রামের এক হত্যাকাণ্ড স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীকে। ২৫ মার্চ ’৭১ এর রাতে বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয় তার চেয়েও শতগুণ নৃশংসতা। ৯ মাস ধরে চলে বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে মাইলাইয়ের বিভীষিকা। ওইদিনই শুরু হয় বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য মুক্তির মুক্তিযুদ্ধ।
১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান। ২৫ শে মার্চ রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২৯ নাম্বার কক্ষেই ছিলেন তিনি। আজও ভয়াল রাতের সেই বিভৎস স্মৃতি তাড়া করে তাঁকে।
সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি কয়েক বছর আগে একটি সংবাদ মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করে বলেন, গুলির শব্দের সাথে সাথে ছাত্রদের আর্তনাদ আমার কানে আসতো, আর আমি তখন বুঝতে পারতাম কি হচ্ছে। আমারও ধারণা হচ্ছিল, একই পরিস্থিতির শিকার আমিও হচ্ছি। ‘
কক্ষের ভিতর তিনদিন অনাহারে থেকে বের হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা মানুষের লাশ আজও জীবন্ত হয়ে আছে তার চোখে।
১৯৭১ সাল থেকে জহুরুল হক হলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আব্দুর রউফ। সেই ভয়াল রাতে হলের ভিতর লুকিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। একটি স্মৃতিচারণে জানালেন, মানুষের আর্তনাদ কানে আসার পর গলা শুকিয়ে যায় এবং মনে মনে চিন্তা হতে থাকে, ওরাতো ঘরেও আসতে পারে। ‘
স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলনকে দমন করতে সে রাতের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগন্নাথ হলে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
★ “গণহত্যা দিবস” পালনঃ
‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক অপারেশন সার্চলাইটে নিহত ও আক্রান্তদের স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। পরে সংসদ কক্ষে রাখা বড় পর্দায় একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও দেখানো হয়। শরণার্থীদের দেশত্যাগ ও হত্যাকান্ডের ছবি দেখানো হয়। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের যত গণহত্যা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের ২৫ মার্চের হত্যাকান্ড ছিল সবচেয়ে মর্মান্তিক। এদিন জাতীয় সংসদে সরকার ও সংসদে বিরোধী দলের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবটির ওপর দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রায় অর্ধশত সংসদ সদস্য অংশ নেন। সংসদের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা রওশান এরশাদ বলেন, ২৫ মার্চের হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালিকে মেধাশূন্য করা। এ ছাড়া দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা’ দিবস হিসেবে পালনের জন্য জাতিসংঘে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন। সংসদে দীর্ঘ সময়ের আলোচনায় প্রত্যেক সংসদ সদস্যই ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তবে শিরীন আখতারের প্রস্তাবের ওপর সামান্য সংশোধনী আনেন সরকারদলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য যে কোনো সংসদ সদস্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব আনতে পারেন। বাংলাদেশে দিবস পালন সাধারণত সরকারের নির্বাহী আদেশে হয়ে থাকে। কিন্তু ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস পালনের বিষয়টি আইনে পরিণত করার জন্যই সংসদের মাধ্যমে এ প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে এর আগে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজ্জামেল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
তথ্য সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিবেদন।
লেখকঃ মোহাম্মদ হাসান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।