বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী করোনাভাইরাস সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব রটালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নিয়মিত ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ ২৯ মার্চ রোববার বাংলাদেশ পুলিশকে ওভারসিস চায়নিজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (ওসিএআইবি) কর্তৃক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ইত্যাদি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে ঘরে থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বানও জানান আইজিপি।
তিনি বলেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনগণের সাথে পেশাদার, সহিষ্ণু ও মানবিক আচরণ করার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি ইউনিট শুরু থেকেই একযোগে কাজ করছে। পুলিশ সদস্যদের করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। যে সকল পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের জানাজা ও দাফনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিশেষ পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।
পুলিশ করোনা রোধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। এ কাজে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে মসজিদের মাইকও ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় ক্যাবল টিভির মাধ্যমেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নিয়মিত জরুরি নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে।
তাছাড়া পুলিশ বিদেশ ফেরতদের তালিকা সংশ্লিষ্ট এসপিদের কাছে প্রেরণ করে নিয়মিত মনিটরের আওতায় নিয়ে এসেছে। বিদেশ ফেরতদের বাড়িগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম মনিটর করার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল কাজ করছে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবো।