করোনা ভাইরাস মহামারী আকার নেয়ায় সারা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ এখন লকডাউনে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েছে। UNCTAD এর মতে শুধুমাত্র এই ক্ষুদ্র ভাইরাসের জন্য ২০২০ সালেই ক্ষতি হতে পারে $২৭০০ বিলিয়ন ডলার। বা ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
মোটের হিসাবে ভারতের মত বড় একটা অর্থনীতির আকারের মত পুরটায় ভ্যানিশ হয়ে যাবে বিশ্ব থেকে। এর ধাক্কা এত সহজে ফেরানো সম্ভব নয়। এই সময়ে বিশ্বের অধিকাংশের দেশের জিডিপি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
বাংলাদেশে এর প্রভাব কেমন সেটা বুঝতেই পারছেন। ইতোমধ্যে প্রায় $৩ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস অর্ডার বাতিল হয়েছে। এটা অবাক করার মত বিষয় হবে না যদি এই অংক $১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে।
গুজবের ফলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি খাওয়া যাবেনা এই ধরনের কথা শেয়ার করার জন্য এখন এই মুরগির বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যশোরে প্রতিদিন ২ লাখা মুরগির বাচ্চা মারা যাচ্ছে হ্যাচারিতে বিক্রি না হবার জন্য।
এর প্রভাব প্রতিটি সেক্টরেই পড়বে। এমন না যে আমরা দেশে সব কিছু ঠিক ভাবে করতে পারলেই বেচে যাব। আবেগি জনগণ করোনা ইহুদি নাসারাদের ধরবে বলে গর্ব করে প্রচার করে বেড়াতো। সেটা এখন মুসলিম দেশগুলিকেও গ্রাস করছে। অমুসলিম দেশ চীন এদেশের বড় বাণিজ্যিক পার্টনার। চীনের থেকে আমদানি কম্র গেছে বিশাল অংকে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ৫০০০ এর মত কার্গো হ্যান্ডেল হত। সেটা কমে ২০০০ এর নীচে চলে আসছে। ১০০০ এর নীচে আসতে বেশি দেরি নেই।
রপ্তানি বাজার ইউরোরপ, আমেরিকায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বাজারে ধ্বস নেমেছে। ডিমান্ড কমে গেছে। এক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে এদেশের শিল্প কারখানায়। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু আমাদের দেশেই না। বাইরের দেশেও অনেক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে। চাকুরী হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
যদিও ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষনা করা হয়েছে কিন্তু এতে কোনভাবেই এই ডাউনফল বন্ধ হবার সুযোগ নেই। কারন চাহিদা এবং সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক হতে অন্তত ২-৩ বছর লাগবে। যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।