একুশ শতকের ভয়াবহ মহামারী নোভেল করোনার প্রাদূর্ভাবে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুসংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ ৩১ মার্চ মঙ্গলবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৭ হাজার ৮২০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ২২৮। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই মুহূর্তে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, ইরানের মতো দেশগুলিতে করোনার প্রাদূর্ভাব ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। মৃতের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে ইতালির অবস্থাই সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৩৯জন মানুষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ১৭০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৯৪৩ জন মানুষ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখানে প্রতি চার জনের তিনজনকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া এবং অ্যারিজোনায় সোমবার থেকে এই নির্দেশ জারি হয়েছে। জনসমাগম রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ফ্লোরিডা প্রশাসনও। জ্যাকসনভিলে সমুদ্র সৈকতগুলিতে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে।
এখনও মৃত্যুমিছিল অব্যাহত স্পেনেও। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেখানে ৭ হাজার ৭১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার সারাদিনে সেখানে ৮১২ জনের মৃত্যু হয়। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা এসে ঠেকেছে ৮৭ হাজার ৯৫৬ জনে।
করোনার প্রাদূর্ভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে চীন। করোনার প্রকোপে সেখানে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ দিন হুবেই প্রদেশে নতুন করে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশফেরত ৪৮ জনের শরীরে নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়েছে।
নোভেল করোনার সংক্রমণে জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত ৬৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৮৮৫ জন। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩০ জনে। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১৭০।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরানে এখনও পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ জনের। ব্রিটেনে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৪১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ৪৫৪।