ছাতকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ত্রাণ সহায়তার চাল নিয়ে চালবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন।
জানা যায়, প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে কাজ হারানো দিনমজুরদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। সারাদেশের ন্যায় ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়নে ১১০০ কেজি, চাল ১১০ কেজি আলু ও ৫৫ কেজি ডাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
গত ৩০ মার্চ সরকারি ট্যাগ কর্মকর্তা ও পরিষদের সকল সদস্যদের উপস্থিততে ১১০ জন দিনমজুরের মধ্যে এসব চাল বিতরণ করা হয়।
এর মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডের ফুলেরা বিবি নামের একজন কার্ডধারীকে সকলের উপস্থিততে ত্রাণ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিকালের দিকে স্থানীয় একজন জামায়াত নেতা একটি আধুনিক হিসাব যন্ত্রের উপর চালের প্যাকেট রেখে ৮কেজি ওজন দেখিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করেন। এর সূত্র ধরে কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।
কিন্তু ট্যাগ অফিসার ও ইউপি সদস্যদের সামনেই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে ঐ মহিলা ছাড়া কারও প্যাকেটে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেনি। এটা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহলের অপপ্রচার উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগটি দাখিল করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সাজুর মিয়া ও সুনু মিয়া জানান, কয়েকজন ইউপি সদস্যের উপস্থিততে গ্রাম পুলিশ চাল, আলু, ডাল প্যাকেট করে। এতে ওজনে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বা অন্য কারও কাছ থেকে অভিযোগও পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন জানান, ওজনে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই প্রকাশ্যে সবার সামনেই বিতরণ করা হয়েছে। এটি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনের সহায়তা কামনা করেছেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম কবির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।