করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রবাসে বাংলাদেশিদের খাদ্যসহ অন্য সমস্যা সমাধানে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এজন্য বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারদের চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দেয়া চিঠিতে মন্ত্রী, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদেরকে সম্ভব সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত / হাইকমিশনারদের বলেছেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মী ও ডায়াস্পোরার অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে
মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনের যৌক্তিক চাহিদানুযায়ী সেখানকার বাংলাদেশি কর্মীদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
একই পত্রে বর্তমান সময় এবং করোনাভাইরাস উত্তর সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা প্রেরণের জন্য মন্ত্রী তাঁদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, কোন প্রবাসী যাতে কষ্টে না থাকে সেজন্য সজাগ রয়েছেন তারা। মন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে করোনাভাইরাসে প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে কর্মীদের কাজ বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে কোন বাংলাদেশি যাতে খাবার কষ্টসহ কোন প্রকার সমস্যায় না থাকেন সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইমরান আহমদ জানান, একজন প্রবাসীও যাতে খাবার কষ্ট না পান, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দূতাবাসে শ্রম উইংগুলোকে নির্দেশ দেয়া রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার কমে যাওয়ার পর শ্রমবাজারে কী ধরণের প্রভাব পড়তে পারে, তারও একটি ধারণা চাওয়া হয়েছে দূতাবাসের কাছে। তিনি বলেন, জনশক্তি খাত যাতে কোন নেতিবাচক প্রভাবে না পড়ে এজন্য সম্ভব সব কিছু করা হচ্ছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দ শুরু হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০ লাখ ও কাতারে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্য দূতাবাস ও শ্রম উইংকে প্রয়োজন অনুযায়ি চাহিদা দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের শ্রম উইং প্রস্তাব পাঠানোর কাজ করছে। তবে কত প্রবাসী খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন, তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লাগছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম কাউন্সেলররা।