চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আজ ৬ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে চট্টগ্রাম নগরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল পুলিশ। সন্ধ্যার পর ওষুধের দোকান ছাড়া নগরের কোনো দোকানপাট ও বিপণিবিতান চালু রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চট্টগ্রাম নগরে কেউ ঢুকতে পারবেন না। আবার কেউ বের হতে পারবেন না। প্রত্যেককে ঘরে থাকতে হবে। এ জন্য চট্টগ্রাম নগরের পাঁচটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের প্রবেশপথ সিটি গেট, অক্সিজেন মোড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কালুরঘাট সেতু এবং শাহ আমানত সেতুর মুখে পুলিশ আজ নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে। এই পাঁচটি পথ দিয়ে চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশ ও বের হওয়া যায়।
চট্টগ্রাম নগরে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাঁরা নগরের দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ ওই বাড়ি এবং প্রতিবেশী আরও পাঁচটি ভবন লকডাউন করে দিয়েছে। করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর সংস্পর্শে আসায় তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে আগেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর কর্মস্থলের ৭৪ কর্মীর সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি। খুলশির একটি সুপারশপে দ্বিতীয় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি করতেন।