সাম্প্রতিক শিরোনাম

খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ কে গ্রেফতারের পর প্রাণভিক্ষা চেয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যে আবেদন করেছেন, তা খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবন সূত্র উদ্ধৃতি করে একটি সংবাদ মাধ্যম খবরটি প্রকাশ করেছে। 
গতকাল বুধবার কারাবন্দী আব্দুল মাজেদ  প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন বলে  ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমে জানান।
বুধবার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরীর আদালতে আব্দুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত মাজেদের ‘মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা’ জারি করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর পরোয়ানা পত্রটি কারাগারে এসে পৌঁছায় বিকেলে। তখনই সেটা মাজেদকে পড়ে শোনানো হয়। মাজেদ তখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে আমাদের মাধ্যমেই প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী ছুটিতে থাকায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যু পরোয়ানা শুনানির জন্য হাইকোর্ট তার ৮ এপ্রিলের ছুটি বাতিল করেন।
প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আবেদনটি মঞ্জুর হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন মঞ্জুর হলে আব্দুল মাজেদকে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
গত মঙ্গলবার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছিলেন, মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার অনুপস্থিতিতে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় চূড়ান্ত হয়েছে। ১৯৯৮ সালের রায় ঘোষিত হওয়ার পর ২২ বছর পলাতক ছিলেন। এখন আর তার আপিল করার কোন সুযোগ নাই।
তবে তাদের মতের সাথে ভিন্নতা প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন্। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোন আসামিকে ধরে নিয়েই ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলানো যায় না। আপিলের সুযোগ পাওয়া একজন আসামির অধিকার।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ৪৫ বছর ও রায়ের ২২ বছর পর গত মঙ্গলবার মাজেদকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২ ধারায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে। মামলা হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তখনকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল এ মামলার রায়ে আবদুল মাজেদসহ ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। হাইকোর্ট ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। ৩ জনকে খালাস প্রদান করেন।
আইনি প্রক্রিয়াশেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...