নাটোর শহরে কান্দিভিটুয়ায় দুপুরে দুটি বাড়ি লকডাউন করার পর সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়ি বটতলা’র জালালাবাদ নোয়াখালীপাড়া নামের একটি গ্রামকে লকডাউন ও পার্শ্ববর্তী তিন গ্রামের ৪৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম।
বুধবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে বুড়ি বটতলা’র জালালাবাদ নোয়াখালীপাড়া গ্রাম লকডাউনসহ কাফুরিয়া, সুলতানপুর ও নোটাবাড়িয়াসহ তিন গ্রামের ৮টি বাড়ির লোকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এসব গ্রামে নারায়নগঞ্জ, ঢাকার আশুলিয়া ও ফরিদপুর থেকে ৪৬ ব্যক্তি এসব গ্রামে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেবল জালালাবাদ নোয়াখালী পাড়া গ্রামে ২১ ব্যক্তি এসেছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জালালাবাদ নোয়াখালী গ্রামে ২১ ব্যক্তির অধিকাংশই নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন। গ্রামটি লকডাউনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) আবুল হাসনাত ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কয়েক ব্যক্তিকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় দুটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে লকডাউন করে দেয়। বাড়ি দুটির মালিক শ্রমিক নেতা হোসেন সরদার ও তার ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হোসেন সরদারের মেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে গাজীপুর থেকে নাটোর শহরের কান্দিভিটা এলাকার বাবার বাড়িতে আসেন। জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকায় ইতিমধ্যেই সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর দুপুরে বাড়ির দরজায় তালা মেরে লকডাউন করে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।