বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারামপুরে ৯ বছরের শিশুকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় পাষণ্ডরা। রক্তাক্ত সেই শিশুকে নিয়ে তাঁর মা আহাজারী করছেন আশুগঞ্জ থানার সামনে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারামপুরে এক চাতাল কল শ্রমিকের ৯ বছরের কন্যা শিশুর সাথে এমন বর্বর আচরণ করেছে স্থানীয় লম্পট যুবক লিটন মিয়া। সন্ধ্যায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় আশুগঞ্জ থানায় হাজির হয় তার মা। শিশুটির গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, তার পরিবার আশুগঞ্জে একটি চাতালকলে শ্রমিক হওয়ায় সেখানেই বসবাস করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে শিশুটি চাতাল কলের ভেতরে খেলা করছিল। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যার দিকে শিশুটির বড় ভাইয়ের বন্ধু আরেক চাতাল কলের শ্রমিক লিটন সেখানে আসে। এসময় শিশুটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধান ক্ষেতে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
ওই শিশুর এক সহপাঠী তার পরিবারকে এসে জানায় শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় অভিযুক্ত লিটন থানার সামনে দিয়ে ঘুরাঘুরি করছে। পুলিশকে জানালে লিটনকে আটক করা হয়।
আশুগঞ্জ-সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা জানান, অভিযুক্ত যুবককে শিশুটি শনাক্ত করার পর আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ। তার বিশেষ অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে গাইনি কনসালটেন্ট কল করে চিকিৎসা সেবা শুরু করেছি। এমনকি শিশুটিকে ঢাকায় প্রেরণ করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, শিশুটির সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই ন্যাক্কারজনক।