জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে গেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আজ ১০ এপ্রিল শুক্রবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান স্বজনরা। কারাগার সূত্রে প্রকাশ। এর আগে বুধবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেন। এর পর ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কারাগার কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধুর আলোচিত এই খুনি ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফেরেন। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরপর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এখনো পাঁচজন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেই খুনিরা হলেন কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ও লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।