জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে রহমত আলী (৩৫)। তিনি ওমানের দুর্গম এলাকায় একটি হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওমান থেকে মৃতের ভাগ্নে ও সহকর্মী লেহাজ উদ্দীন ফোনে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, ১৭ দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন, গত সপ্তাহে অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে তিনি মারা জান।
তিন ছেলের জনক রহমত ৯ বছর আগে ভাগ্য অন্বষণে পাড়ি জমান ওমানে। আড়াই বছর আগে সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশে আসেন।
এবার বাড়িতে আসার কথা থাকলেও করোনার কারণে তিনি দেশে আসতে পারছিলেন না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা এবং তার স্ত্রী-সন্তানরা পাগলপ্রায়।
মৃতের গ্রামের বাড়ি নতুন শাহাপুরে গিয়ে দেখা গেছে স্বজনদের আর্তনাদ। ছেলের শোকে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানরা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
যেকোনো মূল্যে একবারের জন্য হলেও লাশ দেখতে চান মা-বাবাসহ ছেলে-সন্তানরা। স্বামীর লাশের জন্য স্ত্রীর আর্তচিৎকার দেখতে আসা মানুষের মনে দাগ কাটছে।
লাশ দেশে এনে দাফন করতে সরকারের সাহায্য চেয়েছেন মৃত রহমতের স্বজনরা। ছেলের জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন তার মা-বাবা।