আটকে পড়া সৌদিপ্রবাসীদের ইকামা ও ভিসা সমস্যা দূর হওয়ার কথাও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেকের হয়তো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
সৌদি সরকার বলেছে, কোনো সমস্যা নেই। তারা রবিবারে তাদের অফিস খুলবে। তখন তারা ভিসা নবায়ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিমানের বাতিল করা ফ্লাইটগুলো ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে। সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলো আসবে। সুতরাং প্রবাসী যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁরা যেতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী ভাইদের বলি, আপনারা টিকিট, ভিসা আনতে যাবেন। তবে জটলা করে যাবেন না।
শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে করেন, যাতে মনে হয় না মারামারি, হৈচৈ। এগুলো যাতে না হয়। কারণ এগুলো হলে আপনাদের, আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আমি এ জন্য আমার প্রবাসী ভাই-বোনদের বলব এগুলো না করতে।
আগের দিনের মতো গতকালও তৃতীয় পক্ষের উসকানির ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা জিনিস দেখেছি, আমাদের কাছে যাঁরা দরখাস্ত, পিটিশন দিয়েছেন সেদিন এখানে বিক্ষোভ করেন, তাঁরা কিন্তু কেউই প্রবাসী না। আশ্চর্যজনকভাবে যাঁরা সই করেছেন, তাঁরা হলেন স্থানীয় বিভিন্ন নেতা।
আমি এ জন্য প্রবাসীদের বলব, আপনারা তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে আপনাদের পায়ে কুড়াল মারবেন না। এ জন্য যে এসব দেশ বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। তখন তারা ভয় পেয়ে যাবে যে এত লোক এসে ঝামেলা করে কি না। সে জন্য নিজেদের কারণে তাঁরা সতর্ক হলে ভালো।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, ১০০ জনের মধ্যে হয়তো পাঁচ বা সাতজনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়টি দেখবে। ইকামা (ওয়ার্ক পারমিট) নিয়োগকারীর সুপারিশের ভিত্তিতে দেয়। বিভিন্নজনের বিভিন্ন মেয়াদের ওয়ার্ক পারমিট।
আর অনেকে তো নিজের দোকানেই কাজ করেন।তিনি জানান, ওয়ার্ক পারমিট চলতি সফর মাস পর্যন্ত বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
সৌদি ভিসা ইস্যু কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন আগেরগুলো নিয়ে চিন্তিত। নিশ্চয়ই তারা ভিসা অফিস খুলবে এবং তখন থেকে প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাংলাদেশে কভিডকে আপনারা পাত্তাই দেন না। কিন্তু অন্যান্য দেশে কভিড নিয়ে খুব কড়াকড়ি। অনেকগুলো দেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এমনকি ইংল্যান্ডে এখন রাত ১০টার পর কারফিউ থাকে।
বাংলাদেশে তো আপনারা সারা রাত ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আমাদের দেশের মানুষ কভিডকে খুব সহজভাবে নিয়েছে। কারণ মৃত্যুসংখ্যা এত কম।