মাদারীপুর জেলা শিবচর থানার রুমি বেগম (রুবি) বয়স আনুমানিক ৩৮/৪০ দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ার কেপং পারডানা নামক এলাকায় কর্মরত অবস্থায় বসবাস করতেন।
একটি বাসার রুমে তিনি নিজে একাই থাকতেন। দু’দিন যাবত কোন খোঁজখবর না পাওয়াতে পাশের রুমের লোকজন ডাকাডাকি করেন এতে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় তারপর রুমের দরজা ভেঙ্গে দেখেন ফ্লোরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। সাথে সাথে এম্বুলেন্সে করে সেলায়াং হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন ডাক্তার নিশ্চিত হলেন উনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। দীর্ঘ ২৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তারপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন।
রুমি বেগম (রুবি) ব্রেইন স্ট্রোক করেই দু’দিন যাবত ফ্লোরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকার খবর দেশের আত্মীয় স্বজনরা জানতে পেরে রুমির অসুস্থতার কথা অবগত করেন সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া এস এম আবুল হোসেনকে। তিনি রুমির অসুস্থতার খবর জানতে পেরেই তাৎক্ষণিক ছুটে যান সেলায়াং হাসপাতালে রোগীর কাছে এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেই রোগীকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মানব সেবার হাত বাড়িয়ে শুরু করেন B4G কারণ রুমি বেগম ছিলেন মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী যার কোন প্রকার কাগজ পত্র বলতে কিছুই ছিলনা।
জন্মনিবন্ধনের কাগজ পত্র, ট্রাভেল পাশ, টিকেটিং, ইমিগ্রেশন (স্পেশাল পাশ), হাসপাতালের বিল সহ প্রায় ১২ হাজার মালয় রিংগিতের সমস্যা সমাধান করে মালয়েশিয়া থেকে রোগীকে সাথে করে নিয়ে বাংলাদেশে রুমির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে এই মানব সেবাকারী এস এম আবুল হোসেন। সার্বিক সহযোগিতায় যারা পাশে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের হেদায়েত মন্ডল, মোকসেদ লেবার উইং, বাংলাদেশ বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার মালয়েশিয়া, মোঃ কামাল হোসেন, শাহ আলম হাওলাদার ও মালয়েশিয়া কেপং প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
এবিষয়ে এস এম আবুল হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য তাই আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজের অসুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই।