সম্পাদকীয় প্রতিবেদন:
রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ৩’নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন ও জাতীয় চার নেতাকে স্মরন করে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু, চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তারপর পবিত্র কোরয়ান থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগিত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভার কার্যক্রাম শুরু করা হয়
সভার সভাপতিত্ব করেন রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম ও সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন।
সভাপতি তার বক্তব্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের বিশেষ পদগুলোতে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওনারাই একমাত্র যুদ্ধ নিয়ে জাতির পিতার পরিকল্পনা জানতেন এবং সেভাবেই যুদ্ধ পরিচালনা করে আমাদের স্বাধীনতার প্রান্তে পৌছে দেন। দেশের কল্যান যারা চায়নি তারা জাতির চার নেতাকে হত্যা করে।
রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যারা মোস্তাকের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ‘৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছিল দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাদের যোগ্য নেতৃত্বে এ দেশ পেয়েছিল স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিয়োগে যারা এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিজেদের যোগ্য নেতৃত্বের দ্বারা — সেই জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
< /p>
সংগঠনের সহ সভাপতি শহিদ উল্লাহ জিন্নাহ বলেন, বাংগালি জাতির স্বাধীনতা এনে যারা দিয়েছিলেন তাদের হত্যা করতে জিয়া মোস্তাক গং কূন্ঠিত হয়নি। আজ জাতি সেই জিয়া মোস্তাক গংদের ধিক্কারের সাথে স্মরন করছে।
সভায় সংগঠনের সহ সভাপতি, ফয়েজ উদ্দিন লাভলু বলেন, খুনিরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধু কিংবা জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করলেই আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা ভাবেনি এটা আসলে একটা আদর্শ, আওয়ামী আদর্শ যার মৃত্যু নেই।
সহ সভাপতি এনায়েত খান ওনার বক্তব্য জাতীয় চার নেতার মুক্তিযুদ্ধে অনস্বীকার্য অবদান তুলে ধরে ওনাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সংগঠনের প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক কাজী শাহিন বলেন, জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগের কথা ও সংগ্রামের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে আমাদের কাজ করতে হবে।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন, সম্পাদকীয় মন্ডলির সদস্য গন যথাক্রমে, সুমন করিম, মোঃ আসাদ, তানভীর হাসান , সুমন খান প্রমুখ