সৌদি আরবে অক্টোবর মাস থেকে বিশেষ (নন শিডিউল) ফ্লাইটের অনুমতি পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এসব ফ্লাইটে প্রবাসীদের সৌদি আরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের আকাশপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ১৬ মার্চ থেকে পরবর্তী সব শিডিউল ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। নতুন করে কোনো টিকিট বিক্রি করছে না এয়ারলাইনসটি। টিকিট বিতরণের ক্ষেত্রে ফ্লাইট বাতিলের তারিখ ধরে পর্যায়ক্রমে টিকিট রি-ইস্যু করা হবে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, জেদ্দাগামী যাত্রীদের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর, ১, ৪, ৫ ও ৬ অক্টোবর ফ্লাইট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান সংস্থাটি।
এছাড়া রিয়াদগামী যাত্রীদের জন্য ২,৪, ৯, ১১ অক্টোবর এবং দাম্মমগামী যাত্রীদের ১,৩ ও ৫ অক্টোবর ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
জেদ্দা: জেদ্দাগামী যেসব যাত্রীর ২২-২৪ মার্চের মধ্যে টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৩০ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর বিমানের বুকিং কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
২৫-২৮ মার্চে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ১ অক্টোবর এবং বুকিংয়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করতে হবে। ২৯-৩১ মার্চে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৪ অক্টোবর, বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ১ থেকে ৪ এপ্রিলে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৫ অক্টোবর এবং যোগাযোগ করতে হবে ১ অক্টোবর।
৫-৮ এপ্রিলের মধ্যে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৬ অক্টোবর এবং বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ২ অক্টোবর।
রিয়াদ: রিয়াদগামী যেসব যাত্রীর ২২-২৩ মার্চে টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ২ অক্টোবর (১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা) এবং যোগাযোগ করতে হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। ২৪-২৫ মার্চে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৪ অক্টোবর (৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা) এবং যোগাযোগ করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
২৬-২৭ মার্চের মধ্যের টিকিটধারীদের ফ্লাইট ৯ অক্টোবর (৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা) এবং যোগাযোগ করতে হবে ৩ অক্টোবর। ২৯-৩০ মার্চের টিকেটধারীদের ফ্লাইট ১১ অক্টোবর (১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা) এবং যোগাযোগ করতে হবে ৪ অক্টোবর।
দাম্মাম: দাম্মামগামী যেসব যাত্রীর টিকিট ১৬-১৯ মার্চের মধ্যে ছিল তাদের ফ্লাইট ১ অক্টোবর এবং যোগাযোগ করতে হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।
২১-২৪ মার্চের টিকিটধারীদের ফ্লাইট ৩ অক্টোবর এবং যোগাযোগ করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। এছাড়া ২৬-৩০ মার্চে যাদের টিকিট ছিল তাদের ফ্লাইট ৫ অক্টোবর এবং তাদের যোগাযোগ করতে হবে ১ অক্টোবর।
করোনা টেস্ট ঢাকায়: সৌদিগামী যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্টসহ বিমানবন্দরে আসতে হবে। যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ টেস্ট ফলাফলের ছয়টি কপি সঙ্গে রাখতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার সময় গণনা শুরু হবে নমুনা সংগ্রহের সময় থেকে।
করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক এবং নমুনা সংগ্রহের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছতে হবে বিধায় সব যাত্রীকে ঢাকা থেকে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং ঢাকা থেকেই যাত্রা করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিমানের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিমান জানিয়েছে, ফিরতি টিকিটধারী যাত্রীদের এই ফ্লাইটে বুকিং দেওয়ার জন্য বিমান সেলস অফিসে টিকিট, পাসপোর্ট, সৌদি আরব নির্ধারিত অ্যাপস/ লিংক থেকে অনুমোদন ইত্যাদিসহ যোগাযোগ করতে হবে। বুকিং ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে হবে।
ভ্রমণের আগে ও পরে: যাত্রীদের সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং পদক্ষেপগুলো মেনে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে হবে। বিমানে বোর্ডিংয়ের আগে যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করে স্বাক্ষর করতে হবে।
সৌদি বিমানবন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে পূরণ ও স্বাক্ষর করা ফর্মটি জমা দিতে হবে। নির্দেশাবলি অমান্য করার ফলে সিভিল এভিয়েশন আইনের ১৬৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বড় অঙ্কের জরিমানা আরোপিত হবে।
বিমানের ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে যাত্রীদের স্মার্ট ফোনসহ বিমানবন্দরে উপস্থিত হতে হবে।
যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের disclaimer form (অনুচ্ছেদ-২) এ উল্লিখিত Tataman ও Tawakkalna মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে।
সব যাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছানোর আট ঘণ্টার মধ্যে Tataman app এর মাধ্যমে তাদের আবাসস্থলের অবস্থান জানাতে হবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর সাত দিন নিজের বাসায় সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সব যাত্রীকে কভিড-১৯ এর উপসর্গগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কোনও উপসর্গ দেখা গেলে তাত্ক্ষণিকভাবে ৯৩৭-এ কল করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র যেতে হবে।
Tataman app এ যাত্রীদের অবশ্যই প্রতিদিনের স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করতে হবে।