গবেষণা খাতে বাজেট ব্যয় কমিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গবেষণা মঞ্জুরি খাতে গবেষণা ব্যয় ৫০ লাখ বাড়লেও শিক্ষকদের জন্য গবেষণাভাতা খাতে কমেছে প্রায় ২ কোটি টাকা। গবেষণার সরঞ্জামাদির ক্ষেত্রে কমেছে কমেছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে গবেষণাখাতে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অথচ গতবছরের গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিলো প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।
কয়েকটি অনুষদের গবেষণার সরঞ্জাম কেনা এবং কয়েকটি অনুষদ-বিভাগের ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি কেনা ও ল্যাব স্থাপনে ১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা মঞ্জুরী হিসেবে রয়েছে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তুত করা বাজেটে শিক্ষকদের বেতন খাতে ১৩৮ কোটি ৫০ লাখ (বাজেটের ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ) ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় হবে যথাক্রমে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ (বাজেটের ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ) ও ৬৫ কোটি টাকা (বাজেটের ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ)। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভাতা বাবদ সহায়তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা (বাজেটের ২৪ দশমিক ৮১ শতাংশ)।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, সরকার তথা বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে আমরা যে অর্থ বরাদ্দ পেয়ে থাকি তা দিয়ে অনেকটা অভাব-অনটনের মধ্যেই আমাদের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। বিগত পাঁচ বছরে এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোন আয় বাড়েনি।
ফলে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। যেমন-গবেষণা খাতে সরকারের বরাদ্দ মাত্র আট কোটি টাকা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই, সরকারী-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সম্পৃক্তি ও সহায়তা আবশ্যক।
তিন অর্থবছরের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিবছরই বাজেটে ঘাটতি থাকছে। সর্বশেষ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি দেখানো হয়েছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ আর নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্ভাব্য ঘাটতি ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। সরবরাহ ও সেবা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ শত ৭৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। যা গতবছর ১ শত ৫১ লাখ ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিলো। ফলে এ খাতে ২৮ কোটি ৪১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব খাতে আলাদা বরাদ্দও দেয়া হয়েছে। এসব খাতগুলো হচ্ছে- শিক্ষকগণের গবেষণা-প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ সহায়তা খাতে ১ কোটি টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্যে শিক্ষা বিনিময় খাতে ১ কোটি টাকা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের জন্যে বিশেষ সমাবর্তন খাতে ২ কোটি টাকা, আবাসিক টেলিফোন ভাতা নগদায়ন খাতে ৩ কোটি টাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষপূতি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৫ কোটি ৮০ লাখ, কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমের ব্যয়ের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
৭১ কোটি টাকার নিজস্ব আয় দেখানো হয়েছে বাজেটে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ভর্তি ফর্ম বিক্রি থেকে ৩২ কোটি ৫৩ লাখ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৯ কোটি ৩৯ লাখ, নিজস্ব সম্পত্তি থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ ও অন্যান্য খাত থেকে ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা আয়ের খাত দেখানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment