ডাকসুতে ভিপি নুরের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মধ্যকার যে অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় তার ভিতর ছাত্রলীগকে শুধুই টেনে আনছে নুর সমর্থকরা, এমনি একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সেই দিনের ঘটনা পুরো তুলে ধরেছেন গোলাম রাব্বানী।
গোলাম রাব্বানীর স্ট্যাটাস টা নিম্নরুপঃ
আমি চোখের সমস্যার কারণে বিগত এক সপ্তাহ যাবত বাসাতেই অবস্থান করছি। গতকাল দুপুর পৌনে একটার দিকে আমাদের ডাকসুর ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে কথোপকথন থেকে জানতে পারি ভিপি নুর গ্রুপের সাথে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সদস্যদের মারামারি চলছে।
নূরের সাথে থাকা ৫০-৬০ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভবনের প্রবেশ গেটে ও ভিতরে অবস্থান নিয়েছে এবং আমাদের ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদক Shahrima Tanjina Arni এবং রাইসা নাসের ভিতরে আটকা পরেছে। স্বভাবতই অজানা আশংকা থেকে আমি অসুস্থতা নিয়েও ক্যাম্পাসে ছুটে যাই। যানযটে বিলম্ব হওয়ায় মারামারি শেষ হবার বেশ কিছুক্ষণ পরে ডাকসুতে পৌঁছাই। ততক্ষণে আমাদের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী স্যার এসে অর্নি ও রাইসাকে উদ্ধার করেন এবং মারামারিতে আহতদের নিজ দায়িত্বে ডিএসসিতে পাঠান।
সেখানে উপস্থিত কয়েকটি মিডিয়া উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে শুরুতে বলি, ‘আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না। মারামারির আদ্যোপান্ত আমার আমার জানা নেই। তবে ভিপি নূর হামলা বা ঘটনার বিষয়ে ডাকসুর কারো সাথে কথা না বলে ৫০-৬০ জন বাহিরাগত এনে যেভাবে ডাকসু ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং যেখানে যে অরাজকতা হয়েছে, সেগুলো মেনে নেয়া যায় না।
‘নূর আহত না নিহত মুখ্য না, সে কাউকে না জানিয়ে ডাকসুতে বহিরাগত নিয়ে এসে কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো?’ ডাকসুর দুই ছোটবোন অবরুদ্ধ থাকা নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকেই মন্তব্যটি করেছিলাম, যা ডাকসুর জিএস হিসেবে আমার বলা উচিত হয় নাই। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
তবে উক্ত ঘটনায় বরাবরের মতই, ছাত্রলীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ও ঢাবির সিনেট সদস্য সঞ্জিত চন্দ্র দাস মারামারির কথা শুনে ভিপি নুরকে উদ্ধার করতে সেখানে গিয়েছিলো। নুরের সাথে থাকা সহযোগীদের অসৌজন্যমূলক আচরণে ও তীর্যক মন্তব্যে তারা ফিরে আসে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তবুও যা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। উক্ত অনভিপ্রেত ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার আহবান জানাই।